সৎ কাজ শত্রু করলে ও সাহায্য করতে হবে, অসৎ কাজ বন্ধু করলেও বিরোধিতা করতে হবে

তাং-২৯-১০-০৮ সংশোধন ১২-১১-০৮

মহা গ্রন্থ আল-কোরআনের দাওয়াত-ই হচ্ছে সৎ কাজকে প্রতিষ্ঠিত করে অসৎ কাজকে প্রতিরোধ করা। সৎ কাজের মধ্যে আলো রয়েছে, অসৎ কাজের মধ্যে অন্ধকার রয়েছে। তাই মহান আল্লাহপাক ঘোষণা করেন, “তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, মানব জাতির কল্যাণের জন্য তোমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজকে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং অসৎ কাজকে প্রতিরোধ করবে। তবেই তোমরা সফলতা লাভ করবে।” সৎ কাজের মধ্যে আলো রয়েছে। আলো ধরাতে পারলে অন্ধকার দূরে যেতে বাধ্য।

সৎ কাজ হচ্ছে ঐ কাজ, যে কাজের মধ্যে আল্লাহর সৃষ্ট জীবের কল্যাণ রয়েছে। সৎ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পি, এস, এফ সচল রাখা। পি, এস, এফ সচল রাখার মধ্যে আলো রয়েছে, পি, এস, এফ অচল থাকার মধ্যে অন্ধকার রয়েছে। কেননা উপকূলীয় এলাকায় যে সকল স্থানে কোন প্রকার নলকূপ সফল হয় না, সে সকল এলাকার জনগনকে নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য পি,এস,এফ নির্মান করে দেয়া হয়। পি,এস,এফ সচল না থাকলে জনগণ নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হবে তথা জনগণের অকল্যাণ হবে। কাজেই যে সকল এলাকায় পি,এস,এফ রয়েছে, সে সকল এলাকার মুসলমানদের বড় সৎ কাজ তথা তাদের জন্য বড় ইবাদত হচ্ছে পি,এস,এফ সচল রাখা। তাই আমি অত্র এলাকার জনগণকে সচেতন করার জন্য রাত জেগে লিখে চলেছি। এলাকার জনগণ সচেতন নন বলে, সিডরের পরে মেরামত করে দেয়া পি.এস.এফ. ও পূনরায় অচল হয়ে পড়ছে। কোরআনের শিক্ষার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, কোরআন মানব জাতিকে সচেতন করে। কাজেই দোয়া-দরুদ পাঠ করে সওয়াব অর্জন করা দরকার, সচেতন হওয়া জরুরী। সওয়াব অর্জন করা দরকার, সৎ কাজ করা জরুরী। সওয়াব অর্জন করা দরকার, সৎ কাজে সাধ্যমত সাহায্য করা জরুরী। সওয়াব অর্জন করা দরকার, সৎ কাজে সুযোগমত উপদেশ দেয়া জরুরী। যারা জরুরী বিষয়কে গুরুত্ব দেন তারা হচ্ছেন জ্ঞানী। কেননা সৎ কাজের মধ্যেই সওয়াব রয়েছে। সওয়াব অর্জন ও সৎ কাজ হচ্ছে পাখীর দু'ডানা সদৃশ।

  • পি,এস,এফ তৈরী করা দরকার। পি, এস, এফ সচল রাখতে জনগণকে সচেতন করা জরুরী । পি.এস.এফ. সচল রাখার জন্য জনগণকে সচেতন করার মত সৎ কাজটি আমি একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী হয়েও শুরু করেছি, এতে কি আমি অন্যায় করেছি? অন্যায় করলে অপরাধ হবে, আমি তিরস্কার পাব- যেমন আমি তিরস্কার পাচ্ছি অনেক মসজিদের ইমাম সাহেবেরও কাছ থেকে।
ঐ সকল ইমাম সাহেবের কাছ থেকে আমি তিরস্কার পাচ্ছি যে সকল ইমাম সাহেব নামায পড়াতে জানলেও সৎ কাজ জানেন না। তারা সওয়াব অর্জনে সচেষ্ট হলেও সৎ কাজ সম্পর্কে জানতেও চান না। কেননা সৎ কাজ তো সীমিত নয়। পি,এস,এফ সচল রাখার কৌশলের মত সৎ কাজটি জ্ঞানের একটি অধ্যায় নয় কি? এ অধ্যায়টি এম,এ কিংবা কামিলের সিলেবাসে অদ্যাবধি পেয়েছেন কি ? আমাদের স্মরণে রাখা দরকার সিলেবাসের জ্ঞান সীমিত। পৃথিবীর সকল জ্ঞানী ব্যক্তিগণই স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা জ্ঞান সমুদ্র থেকে একফোটা পানি পরিমান জ্ঞান ও অর্জন করতে পারেননি।

ঐ সকল সহকর্মীগণের কাছ থেকে ও আমি তিরস্কার পাচ্ছি, যে সকল সহকর্মীগণ পি,এস,এফ তৈরীর মজা পেয়েছেন (যেমন মসজিদের ইমাম সাহেব সওয়াব অর্জনে মজা পেয়েছেন) অথচ পি,এস,এফ সচল রাখায় যে তার চেয়েও শতগুণ মজা রয়েছে সে মজা তারা পান নি।

যারা সওয়াব অর্জনে সচেষ্ট, পি,এস,এফ সচল রাখতে কমিটি গঠনে (উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্মারক সংখ্যা ৭৫৪ তারিখ ২৩-৬-০৮ মোতাবেক কমিটি গঠনের নির্দেশনা জারী করে এ যাবত ৫০০ কপি বিতরণ করা হয়েছে) উপদেশ দিতেও যাদের কষ্ট ওদের ধর্ম-কর্মে শয়তান হচ্ছে সন্তষ্ট।

মজার ব্যাপার হচ্ছে বাংলার মুসলমানগণ আমরা বিভিন্ন দলও মতে বিভক্ত হয়ে পড়েছি এবং প্রত্যেক দলের ভিন্ন ভিন্ন সিলেবাসও রয়েছে। সিলেবাসের বাইরে আপনি যত গুরুত্বপূর্ণ সৎ কাজের কথাই বলেন না কেন আমরা সে সৎ কাজে শরীক হতে চাই না- যা হচ্ছে শয়তানের কাজ। তাই বলা যায় সৎ লোক প্রাধান্য দিবেন সৎ কাজকে, আর শয়তান প্রাধান্য দিবে সিলেবাসকে।

প্রত্যেক দল থেকেই দাওয়াত এসেছে- –আপনার কথাগুলো সময়োপযোগী, তবে রাস্তাঘাটে এভাবে বললে মানুষ মূল্যায়ণ করবে না। আপনাকে কোন না কোন প্লাটফরমে উঠে এ কথাগুলো বলতে হবে। আমি তাদেরকে পূণঃ বলতে চাই-মহানবীর (সাঃ ) মসজিদ নামক প্লাটফরমের উপর আপনারা অপব্যবহার করার (দলীয় কাজে ব্যবহার করায় ) ফলে ঐ সকল মসজিদে এখন এ ধরনের সৎ কাজের কথা তথা দ্বীনের কথা বলা যাচ্ছে না। তবে আমি মোঃ আজিজুর রহমান মসজিদের ঐ আবর্জনা সাফ করার কাজে হাত দিয়েছি। দয়া করে ভয় পাবেন না। ছাইয়ের মধ্যে (যে ছাই স্বর্ণকারের দোকানের ) যেমন সোনা থাকতে পারে, নিরক্ষর ব্যক্তির (যে ব্যক্তি কোন জ্ঞানী ব্যক্তির সাহচর্য লাভ করেছেন) কথাবার্তায়, লেখনীর মধ্যে ও কিছু জ্ঞান থাকতে পারে। তাই তো কবি গেয়েছেন- যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন। জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে আমি একটি প্রবন্ধ লিখেছি “জ্ঞানী ব্যক্তি কে ?” প্রবন্ধটি মাসিক “পৃথিবী” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এতদোপলক্ষ্যে আমি অদ্যাবধি শতাধিক প্রবন্ধ লিখেছি যা বিভিন্ন স্থানীয় এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে। “মসজিদ হোক সমস্ত কল্যাণকর কাজের কেন্দ্রবিন্দু” শীর্ষক প্রবন্ধটি দৈনিক “যুগান্তর” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

ভাই-আপনারা আমাকে পুরস্কার কিংবা তিরস্কার যা-ই দেন না কেন, আমি আমার এ ধরনের লেখনী চালিয়ে যাব। আপনাদের কাছে (এম,এ/কামিল/ইমাম) আমি বিনীত অনুরোধ করছি- আপনারা যার যার অবস্থান থেকে ২৪ ঘন্টায় অন্ততঃ ২৪ মিনিট সময় (আমি অন্ততঃ চার ঘন্টা ধরে ফ্যাঁসফেসে গলায় এ ক্যাসেট বাজিয়ে বেড়াচ্ছি) ধরে সরকারের তরফ থেকে প্রেরিত পত্রটি পড়ে শুনাবেন কিংবা আলাপ-আলোচনা করবেন। কেননা সৎ কাজ শত্রু শুরু করলেও সৎ লোককে সে সৎ কাজে সাহায্য করতে হবে-যা কোরআনের নির্দেশ। সৎ লোক প্রাধান্য দিবে সৎ কাজকে, আর শয়তান দিবে সিলেবাসকে।
প্রনয়ণে-প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মোরেলগজ্ঞ,বাগেরহাট।

বিঃদ্রঃ পি,এস,এফ(পন্ড স্যান্ড ফিল্টার-যা পুকুরের পানিকে বিশোধন করে থাকে)

0 comments: