সওয়াব অর্জনে সমাজ-সভ্যতার উন্নয়ন হয় না,হয় সৎ কাজে

মুসলমানদের কাজ হচ্ছে দুটিঃ
সৎ কাজকে প্রতিষ্ঠিত করাএবং অসৎ কাজকে প্রতিরোধ করা।

সৎ কাজকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে কাউকে না কাউকে সৎ কাজটি শুরু করতে হবে। অন্য সকলকে ঐ সৎ কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে সাধ্যমত যদি তিনি মুমিন দাবী করেন এবংঅন্যকে প্রেরনা প্রদান ও করতে হবে।যে সমস্ত শিক্ষিত ব্যক্তি তাদের বক্তৃতা, বিবৃতি, ভাষণে, লেখনীতে সৎ কাজের গুরুত্ব, সৎ কাজে সাহায্য করার গুরুত্ব, সৎ কাজে সুযোগমত উপদেশ দেওয়ার গুরুত্ব আলোচনা করেন না, তাগিদ প্রদান করেন না তারা এম,এ পাস হলে ও তারা সুশিক্ষিত নন, তারা কামিল পাস হলে ও আলিম নন, তারা মসজিদে ইমামতি করলেও তারা প্রকৃত ঈমানদার নন।

সচেতন ব্যক্তি হচ্ছেন একজন জ্ঞানী ব্যক্তি।জ্ঞানী ব্যক্তি জানেন জ্ঞান সীমাহীন। জ্ঞানী ব্যক্তি জানেন তিনি যা জানেন তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী রয়েছে অজানা।জ্ঞানী ব্যক্তির জ্ঞানের পিপাসা রয়েছে। তার জ্ঞান আহরনের ব্যাকুলতা রয়েছে, জ্ঞান বিতরণে ও ব্যাকুলতা রয়েছে।
অনেক শিক্ষিত লোককে বলতে শোনা যায়-এত জেনেবুঝে লাভ কি? ঐ লোককে বলছি-না জানা মানব স্বভাব, আর জানতে না চাওয়া শয়তানের স্বভাব। জ্ঞান হচ্ছে মহাসমুদ্রের পানি সমতুল্য। সমুদ্রের অতলান্ত পানি যেমন কেউ কোন দিন কোন পাত্র দিয়ে পরিমাপ করে শেষ করতে পারবে না তদ্রুপ জ্ঞান শিখে ও কেউ কোন দিন শেষ করতে পারবে না। মহান আল্লাহপাক ঘোষনা করেন ‍‌‌পৃথিবীর বৃক্ষরাজি যদি কলম হতো আর সাগর মহাসাগরের পানি যদি কালি হতো - কোরআনের জ্ঞান ব্যাখ্যা লিখে শেষ করার আগে লেখার কালি (সাগর মহাসাগরের পানি) ফুরিয়ে যেতো । ” এতে বোঝা যাচ্ছে কোরআনের ব্যাখ্যা কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।
তাইতো কবি গেয়েছেন - শেখার কোন শেষ নেই, পড়ার কোন বয়স নেই ।

  • বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র ।
  • যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই পাইলেও পাইতে পার অমুল্য রতন । এই অমুল্য রতন হচ্ছে জ্ঞান।
প্রনয়ণে প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান
পাটকেলঘাটা,তালা, সাতক্ষীরা।

0 comments: