সৎ কাজ শত্রু করলে ও সাহায্য করতে হবে, অসৎ কাজ বন্ধু করলেও বিরোধিতা করতে হবে

0 comments

তাং-২৯-১০-০৮ সংশোধন ১২-১১-০৮

মহা গ্রন্থ আল-কোরআনের দাওয়াত-ই হচ্ছে সৎ কাজকে প্রতিষ্ঠিত করে অসৎ কাজকে প্রতিরোধ করা। সৎ কাজের মধ্যে আলো রয়েছে, অসৎ কাজের মধ্যে অন্ধকার রয়েছে। তাই মহান আল্লাহপাক ঘোষণা করেন, “তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, মানব জাতির কল্যাণের জন্য তোমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজকে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং অসৎ কাজকে প্রতিরোধ করবে। তবেই তোমরা সফলতা লাভ করবে।” সৎ কাজের মধ্যে আলো রয়েছে। আলো ধরাতে পারলে অন্ধকার দূরে যেতে বাধ্য।

সৎ কাজ হচ্ছে ঐ কাজ, যে কাজের মধ্যে আল্লাহর সৃষ্ট জীবের কল্যাণ রয়েছে। সৎ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পি, এস, এফ সচল রাখা। পি, এস, এফ সচল রাখার মধ্যে আলো রয়েছে, পি, এস, এফ অচল থাকার মধ্যে অন্ধকার রয়েছে। কেননা উপকূলীয় এলাকায় যে সকল স্থানে কোন প্রকার নলকূপ সফল হয় না, সে সকল এলাকার জনগনকে নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য পি,এস,এফ নির্মান করে দেয়া হয়। পি,এস,এফ সচল না থাকলে জনগণ নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হবে তথা জনগণের অকল্যাণ হবে। কাজেই যে সকল এলাকায় পি,এস,এফ রয়েছে, সে সকল এলাকার মুসলমানদের বড় সৎ কাজ তথা তাদের জন্য বড় ইবাদত হচ্ছে পি,এস,এফ সচল রাখা। তাই আমি অত্র এলাকার জনগণকে সচেতন করার জন্য রাত জেগে লিখে চলেছি। এলাকার জনগণ সচেতন নন বলে, সিডরের পরে মেরামত করে দেয়া পি.এস.এফ. ও পূনরায় অচল হয়ে পড়ছে। কোরআনের শিক্ষার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, কোরআন মানব জাতিকে সচেতন করে। কাজেই দোয়া-দরুদ পাঠ করে সওয়াব অর্জন করা দরকার, সচেতন হওয়া জরুরী। সওয়াব অর্জন করা দরকার, সৎ কাজ করা জরুরী। সওয়াব অর্জন করা দরকার, সৎ কাজে সাধ্যমত সাহায্য করা জরুরী। সওয়াব অর্জন করা দরকার, সৎ কাজে সুযোগমত উপদেশ দেয়া জরুরী। যারা জরুরী বিষয়কে গুরুত্ব দেন তারা হচ্ছেন জ্ঞানী। কেননা সৎ কাজের মধ্যেই সওয়াব রয়েছে। সওয়াব অর্জন ও সৎ কাজ হচ্ছে পাখীর দু'ডানা সদৃশ।

  • পি,এস,এফ তৈরী করা দরকার। পি, এস, এফ সচল রাখতে জনগণকে সচেতন করা জরুরী । পি.এস.এফ. সচল রাখার জন্য জনগণকে সচেতন করার মত সৎ কাজটি আমি একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী হয়েও শুরু করেছি, এতে কি আমি অন্যায় করেছি? অন্যায় করলে অপরাধ হবে, আমি তিরস্কার পাব- যেমন আমি তিরস্কার পাচ্ছি অনেক মসজিদের ইমাম সাহেবেরও কাছ থেকে।
ঐ সকল ইমাম সাহেবের কাছ থেকে আমি তিরস্কার পাচ্ছি যে সকল ইমাম সাহেব নামায পড়াতে জানলেও সৎ কাজ জানেন না। তারা সওয়াব অর্জনে সচেষ্ট হলেও সৎ কাজ সম্পর্কে জানতেও চান না। কেননা সৎ কাজ তো সীমিত নয়। পি,এস,এফ সচল রাখার কৌশলের মত সৎ কাজটি জ্ঞানের একটি অধ্যায় নয় কি? এ অধ্যায়টি এম,এ কিংবা কামিলের সিলেবাসে অদ্যাবধি পেয়েছেন কি ? আমাদের স্মরণে রাখা দরকার সিলেবাসের জ্ঞান সীমিত। পৃথিবীর সকল জ্ঞানী ব্যক্তিগণই স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা জ্ঞান সমুদ্র থেকে একফোটা পানি পরিমান জ্ঞান ও অর্জন করতে পারেননি।

ঐ সকল সহকর্মীগণের কাছ থেকে ও আমি তিরস্কার পাচ্ছি, যে সকল সহকর্মীগণ পি,এস,এফ তৈরীর মজা পেয়েছেন (যেমন মসজিদের ইমাম সাহেব সওয়াব অর্জনে মজা পেয়েছেন) অথচ পি,এস,এফ সচল রাখায় যে তার চেয়েও শতগুণ মজা রয়েছে সে মজা তারা পান নি।

যারা সওয়াব অর্জনে সচেষ্ট, পি,এস,এফ সচল রাখতে কমিটি গঠনে (উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্মারক সংখ্যা ৭৫৪ তারিখ ২৩-৬-০৮ মোতাবেক কমিটি গঠনের নির্দেশনা জারী করে এ যাবত ৫০০ কপি বিতরণ করা হয়েছে) উপদেশ দিতেও যাদের কষ্ট ওদের ধর্ম-কর্মে শয়তান হচ্ছে সন্তষ্ট।

মজার ব্যাপার হচ্ছে বাংলার মুসলমানগণ আমরা বিভিন্ন দলও মতে বিভক্ত হয়ে পড়েছি এবং প্রত্যেক দলের ভিন্ন ভিন্ন সিলেবাসও রয়েছে। সিলেবাসের বাইরে আপনি যত গুরুত্বপূর্ণ সৎ কাজের কথাই বলেন না কেন আমরা সে সৎ কাজে শরীক হতে চাই না- যা হচ্ছে শয়তানের কাজ। তাই বলা যায় সৎ লোক প্রাধান্য দিবেন সৎ কাজকে, আর শয়তান প্রাধান্য দিবে সিলেবাসকে।

প্রত্যেক দল থেকেই দাওয়াত এসেছে- –আপনার কথাগুলো সময়োপযোগী, তবে রাস্তাঘাটে এভাবে বললে মানুষ মূল্যায়ণ করবে না। আপনাকে কোন না কোন প্লাটফরমে উঠে এ কথাগুলো বলতে হবে। আমি তাদেরকে পূণঃ বলতে চাই-মহানবীর (সাঃ ) মসজিদ নামক প্লাটফরমের উপর আপনারা অপব্যবহার করার (দলীয় কাজে ব্যবহার করায় ) ফলে ঐ সকল মসজিদে এখন এ ধরনের সৎ কাজের কথা তথা দ্বীনের কথা বলা যাচ্ছে না। তবে আমি মোঃ আজিজুর রহমান মসজিদের ঐ আবর্জনা সাফ করার কাজে হাত দিয়েছি। দয়া করে ভয় পাবেন না। ছাইয়ের মধ্যে (যে ছাই স্বর্ণকারের দোকানের ) যেমন সোনা থাকতে পারে, নিরক্ষর ব্যক্তির (যে ব্যক্তি কোন জ্ঞানী ব্যক্তির সাহচর্য লাভ করেছেন) কথাবার্তায়, লেখনীর মধ্যে ও কিছু জ্ঞান থাকতে পারে। তাই তো কবি গেয়েছেন- যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন। জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে আমি একটি প্রবন্ধ লিখেছি “জ্ঞানী ব্যক্তি কে ?” প্রবন্ধটি মাসিক “পৃথিবী” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এতদোপলক্ষ্যে আমি অদ্যাবধি শতাধিক প্রবন্ধ লিখেছি যা বিভিন্ন স্থানীয় এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে। “মসজিদ হোক সমস্ত কল্যাণকর কাজের কেন্দ্রবিন্দু” শীর্ষক প্রবন্ধটি দৈনিক “যুগান্তর” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

ভাই-আপনারা আমাকে পুরস্কার কিংবা তিরস্কার যা-ই দেন না কেন, আমি আমার এ ধরনের লেখনী চালিয়ে যাব। আপনাদের কাছে (এম,এ/কামিল/ইমাম) আমি বিনীত অনুরোধ করছি- আপনারা যার যার অবস্থান থেকে ২৪ ঘন্টায় অন্ততঃ ২৪ মিনিট সময় (আমি অন্ততঃ চার ঘন্টা ধরে ফ্যাঁসফেসে গলায় এ ক্যাসেট বাজিয়ে বেড়াচ্ছি) ধরে সরকারের তরফ থেকে প্রেরিত পত্রটি পড়ে শুনাবেন কিংবা আলাপ-আলোচনা করবেন। কেননা সৎ কাজ শত্রু শুরু করলেও সৎ লোককে সে সৎ কাজে সাহায্য করতে হবে-যা কোরআনের নির্দেশ। সৎ লোক প্রাধান্য দিবে সৎ কাজকে, আর শয়তান দিবে সিলেবাসকে।
প্রনয়ণে-প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মোরেলগজ্ঞ,বাগেরহাট।

বিঃদ্রঃ পি,এস,এফ(পন্ড স্যান্ড ফিল্টার-যা পুকুরের পানিকে বিশোধন করে থাকে)

বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ নিজেকে অজ্ঞ ভাবেন,সুশিক্ষিত ব্যক্তিগণ নিজেকে ছাত্র মনে করে থাকেন

0 comments

মানুষ যা জানে তার চেয়ে অনেক অনেক রয়েছে অজানা। তাই তো কবি গেয়েছেন-শেখার কোনশেষ নেই, পড়ার কোন বয়স নেই । একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন সকল রোগের সুচিকিৎসক নন তেমনি একজন জ্ঞানী ব্যক্তি ও সকল বিষযে বিজ্ঞ নন। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি অকপটে নিজের অজ্ঞতার কথা স্বীকার করেন যা জ্ঞান পাপীগণ স্বীকার করে না। জ্ঞানী ব্যক্তি জানেন জ্ঞান সীমাহীন আর সম্পদ সীমাবদ্ধ যা গুনে শেষ করা যায়। জ্ঞান হচ্ছে মহা সমুদ্রের পানি সমতুল্য। সমুদ্রের অতলান্ত পানি যেমন কোন পাত্র দিয়ে পরিমাপ করে শেষ করা যাবে না তদ্রুপ জ্ঞান শিখে ও কেউ কোন দিন শেষ করতে পারবে না। তাইতো মহান আল্লাহপাক ঘোষণা করেন,‘‘পৃথিবীর বৃক্ষরাজি যদি কলম হত আর সাগর মহাসাগরের পানি যদি কালি হত কুরআনের জ্ঞান ব্যাখ্যা লিখে শেষ করার আগে কালি শেষ হয়ে যেত ।’’ এতে বুঝা যাচেছ যে,কুরআনের ব্যাখ্যা কিয়ামত পর্যন্ত চলবে।
কোন দোকানে যেমন সকল ধরনের পন্য পাওয়া যায় না, তদ্রুপ কোন জ্ঞানী ব্যক্তি সকল বিষয়ে জ্ঞানী নহেন। এক এক দোকানে যেমন এক এক ধরনের পণ্য পাওয়া যায়, তদ্রুপ এক এক জন জ্ঞানী ব্যক্তি এক এক বিষয়ে চিন্তা ভাবনা গবেষনা করে থাকেন। আমি দুটো বিষয় নিয়ে ভাবছি- ওয়াটার, স্যানিটেশন এবং সুন্নত। ওয়াটার-স্যানিটেশন হচেছ আমার পেশা। সুন্নত হচেছ আমার ধর্ম। নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা এবং সুষ্ঠ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ৮০% রোগ ব্যাধি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। তিনটি সুন্নত পালনের মধ্যে ৮০% জীবন সমস্যার সমাধান মিলবে।
তিনটি সুন্নত হচেছ উত্তম ব্যবহার, সমঝোতা, কর্মের সংস্থান।

  • উত্তম ব্যবহার-উত্তম ব্যবহারে ভালবাসা তৈরী হয়, র্দূব্যবহারে তৈরী হয় দুরত্ব - বাড়ে দুর্দশা । ভালবাসা দিয়ে বিশ্ব জয় করা যায় । দুর্ব্যবহারে স্ত্রী ও দূরে চলে যায় । তাই আমি একটি বাক্য উচ্চারন করছি যা আপনাদেরকেও ২৪ ঘন্টায় ৪ মিনিট উচ্চারন করার আহবান করছি । নামাজ পড়া দরকার , হিংসা বর্জন করা জরুরী, উত্তম ব্যবহার করা অতীব জরুরী ।
  • সমঝোতা - শান্তির স্বার্থে মহানবী (সাঃ) সমঝোতা করেছিলেন কাফেরদের সংগে যা হুদায়বিয়ার সন্ধি নামে খ্যাত তাই আমি একটি বাক্যে উচ্চারন করছি যা আপনাদেরকেও ২৪ ঘন্টায় ৪ মিনিট উচ্চারন করার আহবান করছি । নামাজ পড়া দরকার , জামায়াতে নামাজ পড়া জরুরী, জামাত বদ্ধ হয়ে ঝগড়া বিবাদ মিমাংসা করা, সালিস করা, সমঝোতা করা অতীব জরুরী ।
  • কর্মের সংস্থান - দেশে লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ে বেকার । বেকারত্ব দূর করার কোন কথা বার্তা মুসলমানদের কোন মজলিসে আলোচনা হয় কি ? তাই আমি একটি বাক্য উচ্চারন করার আহবান জানাচ্ছি । দান করা দরকার, দারিদ্র্য দূর করা জরুরী, কর্মসংস্থান করা অতীব জরুরী ।
দরকার, জরুরী, অতীব জরুরী এক নয়, যেমন গুড, বেটার, বেস্ট এক নয় । জ্ঞানী ব্যাক্তি জানেন কোনটা দরকার - কোনটা জরুরী যেমন কোরআন তিলাওয়াত করা দরকার, তরজমা করা জরুরী, তরজমা তাফসীর পড়ে জ্ঞান চর্চা করা অতীব জরুরী । বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এক হাজার এমএ/কামেল/ ইমাম সাহেবদের মধ্যে একজন ও খুজে পাওয়া কঠিন যিনি ২৪ ঘন্টায় ১ ঘন্টা কোরআনের তরজমা তাফসীর গড়ে জ্ঞান চর্চা করে থাকেন । জ্ঞান চর্চা না করলে মানুষ গোমরাহ্ হয় - গরু হয় । বাকিটা বলা বেমানান ও বেয়াদবী ।
আসুন আমরা সকল দলমত ভুলে গিয়ে আমাদের জনগোষ্ঠীকে জ্ঞান চর্চায় প্রেরনা দেই । আল্লাহপাক আমাদের সহায় হউন । আমিন ।
প্রনয়ণে প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান
পাটকেলঘাটা,তালা, সাতক্ষীরা

সওয়াব অর্জনে সমাজ-সভ্যতার উন্নয়ন হয় না,হয় সৎ কাজে

0 comments

মুসলমানদের কাজ হচ্ছে দুটিঃ
সৎ কাজকে প্রতিষ্ঠিত করাএবং অসৎ কাজকে প্রতিরোধ করা।

সৎ কাজকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে কাউকে না কাউকে সৎ কাজটি শুরু করতে হবে। অন্য সকলকে ঐ সৎ কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে সাধ্যমত যদি তিনি মুমিন দাবী করেন এবংঅন্যকে প্রেরনা প্রদান ও করতে হবে।যে সমস্ত শিক্ষিত ব্যক্তি তাদের বক্তৃতা, বিবৃতি, ভাষণে, লেখনীতে সৎ কাজের গুরুত্ব, সৎ কাজে সাহায্য করার গুরুত্ব, সৎ কাজে সুযোগমত উপদেশ দেওয়ার গুরুত্ব আলোচনা করেন না, তাগিদ প্রদান করেন না তারা এম,এ পাস হলে ও তারা সুশিক্ষিত নন, তারা কামিল পাস হলে ও আলিম নন, তারা মসজিদে ইমামতি করলেও তারা প্রকৃত ঈমানদার নন।

সচেতন ব্যক্তি হচ্ছেন একজন জ্ঞানী ব্যক্তি।জ্ঞানী ব্যক্তি জানেন জ্ঞান সীমাহীন। জ্ঞানী ব্যক্তি জানেন তিনি যা জানেন তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী রয়েছে অজানা।জ্ঞানী ব্যক্তির জ্ঞানের পিপাসা রয়েছে। তার জ্ঞান আহরনের ব্যাকুলতা রয়েছে, জ্ঞান বিতরণে ও ব্যাকুলতা রয়েছে।
অনেক শিক্ষিত লোককে বলতে শোনা যায়-এত জেনেবুঝে লাভ কি? ঐ লোককে বলছি-না জানা মানব স্বভাব, আর জানতে না চাওয়া শয়তানের স্বভাব। জ্ঞান হচ্ছে মহাসমুদ্রের পানি সমতুল্য। সমুদ্রের অতলান্ত পানি যেমন কেউ কোন দিন কোন পাত্র দিয়ে পরিমাপ করে শেষ করতে পারবে না তদ্রুপ জ্ঞান শিখে ও কেউ কোন দিন শেষ করতে পারবে না। মহান আল্লাহপাক ঘোষনা করেন ‍‌‌পৃথিবীর বৃক্ষরাজি যদি কলম হতো আর সাগর মহাসাগরের পানি যদি কালি হতো - কোরআনের জ্ঞান ব্যাখ্যা লিখে শেষ করার আগে লেখার কালি (সাগর মহাসাগরের পানি) ফুরিয়ে যেতো । ” এতে বোঝা যাচ্ছে কোরআনের ব্যাখ্যা কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।
তাইতো কবি গেয়েছেন - শেখার কোন শেষ নেই, পড়ার কোন বয়স নেই ।

  • বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র ।
  • যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই পাইলেও পাইতে পার অমুল্য রতন । এই অমুল্য রতন হচ্ছে জ্ঞান।
প্রনয়ণে প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান
পাটকেলঘাটা,তালা, সাতক্ষীরা।

সচেতন ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে কিছু পর্যালোচনা

0 comments

আমাদের জনগোষ্ঠীকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

  • সচেতন
  • অসচেতন
  • অচেতন।
সচেতন ব্যক্তিগণ হচ্ছেন বিজ্ঞ বা জ্ঞানী যারা সত্যকে সহজে সত্য বলে মেনে নেন।
অসচেতন বা অজ্ঞ ব্যক্তি যারা না বুঝে সত্যকে প্রত্যাখান করে থাকে।
অচেতন বা জ্ঞান পাপী যারা জেনে বুঝে সত্যকে প্রত্যাখান করে থাকেন।

সচেতন ব্যক্তিকে বুঝানো সহজসাধ্য, অসচেতন ব্যক্তিকে বুঝানো কষ্টসাধ্য কিন্তু অচেতন ব্যক্তি কে বুঝানো অসাধ্য। সচেতন ব্যক্তিগণ সংখ্যায় স্বল্প সংখ্যক যারা হচেছন ০৫%। অসচেতন ব্যক্তিগণ হচ্ছেন ৭৫% এবং অচেতন ব্যক্তি হচ্ছে ২৪.৫%। সচেতন ব্যক্তি ও অচেতন ব্যক্তি মিলে হচ্ছে ২৫% যারা হচ্ছে স্রোতের ন্যায়। আর অসচেতন ব্যক্তিগণ
হচ্ছে শেওলার ন্যায়। স্রোত যে দিকে যায় শেওলাগুলো ও সেদিকে যায়।
  1. আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে মসজিদ ভিত্তিক সৎ ব্যক্তিগণকে সংগঠিত করে প্রত্যেক মসজিদ থেকে সচেতনতামূলক কার্য্যক্রমকে জোরদার করা। কেননা সচেতনতা হচ্ছে বালতির তলা। তলাবিহীন বালতি যেমন কোন দিন কোন বস্তু দিয়ে ভরা যায় না, তদ্রুপ সচেতনহীন মানুষগুলোকে সম্পদ দিয়ে কোনদিন সমৃদ্ধশালী করা যায় না। একজন সচেতন ব্যক্তি দলের তুলনায় দ্বীনের প্রাধান্য দিবেন। কেননা তিনি জানেন যারা দ্বীনের তুলনায় দলের প্রাধান্য দেন তারা প্রকৃত দ্বীনদার নয়, তারা হচ্ছে দুনিয়াদার। আর দুনিয়াদার লোকগুলো হচ্ছে ধোকাবাজ।
  2. একজন সচেতন ব্যক্তি নিজে মনোমালিন্য-ঝগড়া, বিবাদ মিমাংসা করে নেয়ার জন্য কিংবা মিমাংসা করে দেয়ার জন্য ব্যাকুল হবেন। কেননা তিনি জানেন মিমাংসা করা মাওলার আইন, মামলা করা মানুষের আইন। মিমাংসায় মিলবে মাওলার সন্তষ্টি, মামলায় হবে ইবলিশ সন্তষ্ট, হবে অর্থ নষ্ট, বাড়বে মনের কষ্ট, পরিবারে হবে শান্তি নষ্ট, সমাজে হবে শৃঙ্খলা নষ্ট, দেশের হবে সমৃদ্ধি নষ্ট।
  3. একজন সচেতন ব্যক্তি সহজে সত্যকে গ্রহণ করে থাকেন। কেননা মহান আল্লাহপাক ঘোষণা করেন,“মুমিন ব্যক্তিদের সামনে যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের[সাঃ] বানী উপস্থাপন করা হয় তখন তারা এ কথা বলে যে, আমরা শুনলামএবং আমরা মানলাম।” কাজেই কোন মুমিনের আল্লাহর বাণীতে ব্যাকরণ তালাশ করার কোন অবকাশ নেই।
  4. একজন সচেতন ব্যক্তির শ্রেষ্ঠ কাজ হচ্ছে অন্য অসচেতন ব্যক্তিকে সচেতন করা এবং অচেতন ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলা। কেননা তিনি জানেন সচেতনতা হচ্ছে বড় সম্পদ,সচেতনতা হচ্ছে বড় শক্তি আর সচেতন মানুষগুলো হচেছ সোনার মানুষ। যারা সোনার চেয়ে ও দামী।
  5. একজন সচেতন ব্যক্তি অল্পে তুষ্ট। তিনি অসচ্ছল হলেও অভাবী নন। সচেতন ব্যক্তি জানেন যে, যার ধন নেই সে দরিদ্র নয়। যার আশা যত বেশী সে তত বেশী দরিদ্র।
  6. একজন সচেতন ব্যক্তি সমাজ-সভ্যতার উন্নয়নে চিন্তা ভাবনা করে থাকেন। তিনি সমাজের মানুষের সুখ-দুঃখের ভাগী হন। সমাজ-সভ্যতার উন্নয়নে সচেষ্ট তিনি। সমাজ লাগে না শয়তানের আর ফিরিশতার। এ দেশের এক হাজার এম,এ/কামিল/ইমাম সাহেবদের মধ্যে কতজন খুজে পাওয়া যাবে যারা ২৪ ঘন্টায় এক ঘন্টা সমাজ-সভ্যতার উন্নয়নে আলাপ আলোচনা করে থাকেন? সমাজ-সভ্যতার ঊন্নয়নে সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। পূর্বেই উল্লেখ করেছি সচেতনতা হচ্ছে বালতির তলা। তলাবিহীন বালতি যেমন কোনদিন কোন বস্তু দিয়ে ভরা যাবে না সচেতনহীন মানুষগুলোকে সম্পদ দিয়ে সমৃদ্ধশালী করা যাবে না।
  7. একজন সচেতন ব্যক্তি হচ্ছেন একটি জ্বলন্ত মোমবাতি।একটি মোমবাতি দ্বারা যেমন হাজারো মোমবাতি জ্বালানো যায় তেমনি একজন সচেতন ব্যক্তির দ্বারা হাজারো অসচেতন ব্যক্তিকে সচেতন করা যায়। সচেতনতা হচ্ছে বড় সম্পদ। সচেতনতা হচ্ছে বড় শক্তি।সচেতন মানুষগুলো হচ্ছেন সোনার মানুষ যারা সোনার চেয়ে ও দামী।দেহের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে রক্ত,দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে সোনা,সমাজের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছেন সচেতন মানুষগুলো।
  8. একজন সচেতন ব্যক্তির স্বভাবে থাকবে সমঝোতাবোধ। একজন সচেতন ব্যক্তির স্বভাবে থাকবে স্বার্থত্যাগ। কেননা তিনি জানেন সহিংসতার কারণ হচ্ছে সমঝোতার অভাব,সহিংসতার কারণ হচ্ছে স্বার্থপরতা। সহিংসতায় সমাজ-সভ্যতা ধ্বংস হয়। একহাজার এম,এ/কামিল/ইমাম সাহেবদের মধ্যে কত জন খুজে পাওয়া যাবে যারা ২৪ঘন্টায় চার মিনিট সময় ধরে সমঝোতা স্বার্থত্যাগের গুরুত্ব আলোচনা করে থাকেন? এদের মাধ্যমেই সমাজ-সভ্যতা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছেছে। সকল শ্রেনী-পেশার লোকের দল রয়েছে অথচ সৎ লোকের কোন দল নেই। আমি প্রত্যেক মসজিদ থেকে সৎ লোকগুলোকে সংগঠিত করার প্রচেষ্টা করছি । প্রত্যেক মসজিদ থেকে যেন ২৪ ঘন্টায় অন্ততঃ ৪ মিনিট সচেতনতা মূলক কথাবার্তা প্রত্যেকদিন বলা শুরু করে ।
আল্লাপাক আমাদের সহায় হউন । আমিন ।
প্রনয়ণে প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান
পাটকেলঘাটা, তালা, সাতক্ষীরা।

মুসলিম সমাজের যে কোন ধরনের আলোচনায় সওয়াবের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়ায় মুসলিম সমাজ-সভ্যতা ধ্বংস হচ্ছে

0 comments

দোয়া-দরুদ পাঠ করে সওয়াব অর্জন করা ও সৎ কাজ করা কখনো এক হতে পারে না। মুসলমানের কাজ হচেছ সৎ কাজকে প্রতিষ্ঠিত করে অসৎ কাজকে প্রতিরোধ করা। আলো ধরিয়েই অন্ধকার দূর করতে হবে। তদ্রুপ সৎ কাজকে প্রতিষ্ঠিত করেই অসৎ কাজকে প্রতিহত করতে হবে। সওয়াব অর্জনের দ্বারা কখন ও সৎ কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। সওয়াব অর্জন করা হচেছ মার্বেলতুল্য এবং সৎ কাজ করা হচেছ মুক্তাতুল্য। সওয়াব অর্জন করা হচ্ছে পাগড়ীতুল্য আর সৎ কাজ করা হচেছ পাজামাতুল্য।
আমার মতবাদ হচেছ পাগড়ী পরা দরকার, পাজামা পরা জরুরী। আমরা পরনে পাজামা পড়ে থাকি আব্রু ঢাকার জন্য আর মাথায় টুপির উপর পাগড়ী পরে থাকি নেকী বা সওয়াব বাড়াতে। ফরজ আর নফলের মধ্যে তফাৎ হচ্ছে আকাশ-পাতাল। নফল হচেছ এক টাকা আর ফরজ হচ্ছে লক্ষ টাকা। মহানবী (সাঃ) এরশাদ করেন, ‘‘ লক্ষ নফল দিয়ে ও একটি ফরজের সমান হবে না।” জিকির করা হচ্ছে মাথায টুপির উপর পাগড়ী পরা আর ঝগড়া মিটানো হচেছ পরণে পাজামা পরা।

সওয়াব অর্জন করা হচ্ছে পাগড়ী আর স্বার্থত্যাগ করা হচেছ পরণে পাজামা পরা। বাংলার এম, এ/কামিল/ইমামের মধ্যে কতজন খুঁজে পাওয়া যাবে যারা আমাদের জনগোষ্ঠিকে চব্বিশ ঘন্টায় চার মিনিট সময় ধরে স্বার্থত্যাগে প্রেরনা প্রদান করে থাকেন ?

বাস্তবে অনেক ভ্যানওয়ালাকে ও দেখা যায় তাদের স্বভাবে সমঝোতাবোধ, স্বার্থত্যাগ রয়েছে অথচ অধিকাংশ বি,এ পাস ব্যক্তির স্বভাবে রয়েছে স্বার্থপরতা, সহিংসতা। যাদের স্বভাবে সহিংসতা রয়েছে তারা হচ্ছে সহিংস। সহিংস ব্যক্তিগণ হচ্ছে হিংস্র। হিংস্র পশুকে ও মানুষ পোষ মানিয়েছে কিন্তু মানুষের হিংস্রতা হিংস্র পশুর চেয়ে ও জঘণ্য। ছোটবেলা আমার মা মেজো ভাইকে বলতেন - তোর মনে হিংসা, তুই হচ্ছিস হায়েনা। আমাদের অধিকাংশ হাফেজ সাহেবদের স্বভাবে রয়েছে হিংসা বিদ্বেষ। অধিকাংশ এম.এ/কামিল/ইমাম সাহেবদের স্বভাবেও রয়েছে হিংসা বিদ্বেষ............।

মুসলিম সমাজ-সভ্যতার উন্নয়নে মসজিদ তৈরী করা হয়েছে। সমাজ-সভ্যতার উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য্য হচ্ছে সমঝোতা,স্বার্থত্যাগ ও সচেতনতাবোধ। অথচ কোন মসজিদে চব্বিশ ঘন্টায় চার মিনিট সময় ধরে মুসল্লীগণকে সমঝোতা-স্বার্থত্যাগে প্রেরনা দান করা হয় কি ? বরং অধিকাংশ মসজিদে ইমাম-মুয়াজ্জিনের মধ্যে ও সুসম্পর্ক নেই তথা সমঝোতাবোধ নেই, স্বার্থত্যাগ নেই। বাংলার ৯৯% মসজিদে ফজর নামাজবাদ সূরা হাশর পাঠ করে সওয়াব অর্জনের রেওয়াজ চালু থাকলে ও সমঝোতা, স্বার্থত্যাগের কোন আলোচনাও নেই। যা আলোচনায় নেই- তা কি করে আমলে আসে?
অর্থাৎ মসজিদে সমঝোতাবোধ, স্বার্থত্যাগের কোন আলোচনা না হওয়ার কারণে আজ সমাজের মানুষের মধ্যে সমঝোতার অভাব, স্বার্থত্যাগের অভাব। ফলে সমাজের মানুষগুলোকে অহরহ সহিংসতায় লিপ্ত হয়ে পড়তে দেখা যায়।
বরং মসজিদে এমন সব কথাবার্তা বলা হয়, এমন মাসলা দেয়া হয় যাতে মানুষ মারামারিতে লিপ্ত হয়, এমন ফতোয়া দেয়া হয় যাতে ফেৎনা তৈরী হয়।

যে সকল মসজিদে সৎ কাজের গুরুত্ব আলোচনা করা হয় না, সৎ কাজে সাধ্যমত সাহায্য করায় উৎসাহ দেয়া হয় না, পি, এস, এফ মেরামতের মত সৎ কাজে উপদেশ দেয়া হয় না অথচ সূরা হাশর পাঠ করে সওয়াব অর্জনে কোন সমস্যা হয় না ঐ সকল মসজিদ থেকেই সমাজ-সভ্যতা ধ্বংসের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলছে।
আমাদের স্মরনে রাখা দরকার যে, নামাজ-রোযা পালন করা যেমন ইবাদত, সৎ কাজ করা ও তেমনি ইবাদত। সৎ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মানুষকে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা। উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদ পানির সুব্যবস্থা করা হয় পি,এস,এফ তৈরীর মাধ্যমে(যেখানে কোন প্রকার নলকূপ সফল হয় না)। নামায পড়া যেমন জরুরী, পি,এস,এফ মেরামতের মত সৎ কাজে সাধ্যমত সাহায্য-সহযোগিতা করা ও তেমনি জরুরী। যারা জরুরী বিষয়কে গুরুত্ব দেন তারা হচেছন জ্ঞানী। মোরেলগঞ্জের হাজার এম, এ/কামিল/ইমামের মধ্যে কতজন খুঁজে পাওয়া যাবে যারা এহেন জীবনদায়িনী বিষয়টি তথা নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় ২৪ ঘন্টায় ৪ মিনিটি সময় ধরে আলোচনা করে থাকেন? জনগণকে উপদেশ দিয়ে থাকেন?
ঐ সকল ধার্মিক ব্যক্তিগণ হচ্ছে ধর্মান্ধ যারা সওয়াবের গুরুত্ব দিলে ও সৎ কাজের গুরুত্ব আলোচনায় ও প্রাধান্য প্রদান করেন না। যারা সওয়াব অর্জনে সচেষ্ট অথচ সৎ কাজের আলোচনা করতে ও যাদের কষ্ট ওরা এম,এ/কামিল/ইমাম হলে ও ওদের ধর্ম-কর্মে শয়তান হচ্ছে সন্তষ্ট।
বাংলার ৯৯% ধার্মিক ব্যক্তিগণ আমরা কেউবা ধর্মান্ধ, কেউবা ধর্ম সন্ত্রাসী,আমাদেরকে হতে হবে ধর্মভীরু । ধর্মভীরু ব্যক্তিগণ হচ্ছেন মুমিন, আলিম তথা সুশিক্ষিত। ধর্মান্ধরা হচেছ নির্বোধ । ধর্মভীরু ব্যক্তিগণ নামায পড়ায় যতটা পেরেশাণ হবেন পি,এস,এফ সচল রাখায় ও ততটা পেরেশাণ হবেন। মোরেলগজ্ঞের এক হাজার এম, এ /কামিল / ইমাম সাহেবের মধ্যে কতজন খূজে পাওয়া যাবে যারা নামায পড়ায় যতটা গুরুত্ব দেন তার অর্ধেক গুরুত্ব দেন পি, এস, এফ সচল রাখার ক্ষেত্রে।

  • ঐ সকল ধার্মিক ব্যক্তিগণ হচ্ছে ধর্মসন্ত্রাসী যারা দলের জন্য জান দিতে ও প্রস্তুত অথচ দ্বীন কায়েমের স্বার্থে সম্পদ, সম্মান দিতে ও প্রস্তুত নয় । ওরা সৎ কাজে সাহায্য চাইলে অজুহাতে এড়িয়ে যায়।
  • ঐ সকল ধার্মিক ব্যক্তিগণ হচ্ছে ধর্মসন্ত্রাসী যারা নিজেরা বহু দান- সদকা করে থাকেন, জামায়াতে নামায ও পড়ে থাকেন অথচ সমবেত হয়ে সৎ কাজ বাস্তবায়নে দাওয়াত দিলে তারা ঐ সৎ কাজে সিলেবাস, সার্কুলার, দল-দলিল খুঁজে বেড়ান।
ধর্ম সন্ত্রাসীরা দলের লোকের লেখা না হলে পড়তে চায় না, দলের লোকের কথা না হলে শুনতে চায় না। দলীয় কিতাবে না থাকলে দেখতে ও চায় না। দলীয় বৈঠক ছাড়া বসতে ও চায় না।

আসুন আমরা সকল দলমত ভূলে গিয়ে সওয়াব অর্জনের পাশাপাশি পি, এস, এফ মেরামতের মত সৎ কাজ বাস্তবায়নে তাবলীগ করি তথা প্রচার করি, প্রানপণ প্রচেষ্টা করি তথা জিহাদ করি। আল্লাহপাক আমাদের সহায় হউন। আমীন! আমীন!

প্রনয়নে-প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান পাটকেলঘাটা,তালা.সাতক্ষীরা
  • মোরেলগঞ্জ- বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলাধীন একটি উপজেলা

কুরআন পাক হচ্ছে মানব জাতির জন্য জীবন বিধান

0 comments

কুরআন জীবন সমস্যার সমাধান দেয়। আমি এমন কিছু কথা বার্তা বলা শুরু করেছি যে বাক্যগুলো ব্যতিক্রমী, বেমানান ও হতে পারে আপনাদের অনেকের কাছে। তবে আমি দাবী করছি এ কথাগুলোর বাস্তবতা রয়েছে, কুরআন-সুন্নাহতে সূত্র ও রয়েছে । যেমনঃ- নামায-রোযা পালন করা দরকার, হিংসা-বিদ্বেষ বর্জন করা জরুরী। নামায-রোযা পালন করে হিংসা করা আর উত্তম খাবার খেয়ে বমি করা এক কথা। হিংসা-বিদ্বেষ মানুষের বিবেকবোধকে বিলুপ্ত করে দেয়।

নামায পড়া হচ্ছে ঔষধ, হিংসা করা হচেছ ব্যাধি। ঔষধ সেবনে রোগ কমতে ও পারে, বাড়তে ও পারে। কিন্তু নামায- রোযা যারা পালন করবে তারা নিশ্চয়ই অন্যায় অপকর্ম থেকে হেফাজত থাকতে সম্ভব হবে বলে মহান আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন। নামায পড়া হচেছ কলসীতে পানি ভরা আর হিংসা-বিদ্বেষ হচেছ কলসীর তলার ছিদ্র। কলসীতে পানি ভরা জরুরী? না ছিদ্র মেরামত করা জরুরী ? তদ্রুপ নামায-রোযা পালন করা জরুরী ? না হিংসা বর্জন করা জরুরী ?

যারা নামায জামায়াতে পড়ার জন্য পেরেশাণ অথচ হিংসা-বিদ্বেষ বর্জনের জন্য ২৪ ঘন্টায় ৪ মিনিট সময় ধরে আলোচনা ও করেন না তারা আল্লাহর সহযোগী নয় তারা হচেছ ইবলিশের সহযোগী। ঔষধ সেবনের উদ্দেশ্য যেমন রোগীর রোগ নিরাময় করা তেমনি নামায রোযা পালনের উদ্দেশ্য হচেছ হিংসা-বিদ্বেষ বর্জন, গর্ব-অহংকার পরিত্যাগ করা, লোভ-লালসা বর্জন করা ইত্যাদি।

মসজিদের ইমাম সাহেব নামাযের জন্য যতটা তাগিদ দেন, তার অর্ধেক সময় ধরে কি তাগিদ দেন হিংসা-বিদ্বেষ বর্জনের জন্য ?
কোরআন জীবন সমস্যার সমাধান দেয়। জীবন জিন্দেগীর ৮০% সমাধান রয়েছে মনের স্যানিটেশন অর্জনের মধ্যে তথা সমঝোতা - সহনশীলতার মধ্যে। কোন পীর সাহেবের মুখে দিনে দু’ মিনিট ধরে সমঝোতা অর্জনের গুরুত্বের বিষয় আলোচনা শুনতে পান ?

প্রকৃত নামাযী ব্যক্তির স্বভাবে থাকবে সমঝোতাবোধ, প্রকৃত নামাযী ব্যক্তির স্বভাবে থাকবে স্বার্থত্যাগ, প্রকৃত নামাযী ব্যক্তির স্বভাবে থাকবে বিনয়-নম্রতা। অথচ লক্ষ নিয়মিত নামাযীর মধ্যে একজন খুজে পাওয়া কঠিন যিনি নামায-রোযা পালনের ন্যায় প্রাধান্য দিয়ে থাকেন হিংসা-বিদ্বেষ বর্জনের বিষয়ে।

যে সকল এম,এ,পাস ব্যক্তিগণের স্বভাবে হিংসা-বিদ্বেষ প্রবল এবং তারা দলাদলিতে লিপ্ত - একদল অন্য দলকে সহযোগী না ভেবে - ভেবে থাকে শত্রু , তারা কখন ও সুশিক্ষিত নন তারা হচ্ছেন শিক্ষিত শয়তান। তারা কখন ও আল্লাহর সহযোগী নন, তারা হচেছ শয়তানের সহযোগী।

যে সকল কামিল পাস ব্যক্তিগণের স্বভাবে হিংসা-বিদ্বেষ প্রবল এবং তারা দলাদলিতে লিপ্ত, একদল অন্য দলকে সহযোগী না ভেবে - ভেবে থাকে শত্রু , তারা কখন ও আলিম নন তারা হচেছ জালিম। ঐ সকল কামিল পাস ব্যক্তি মসজিদে ইমামতি করলে ও তারা কখন ও আল্লাহর সহযোগী নন তারা হচ্ছে ইবলিশের সহযোগী ।

যে সকল এম,এ,পাস ব্যক্তিগণের স্বভাবে হিংসা-বিদ্বেষ প্রবলএবং তারা দলাদলিতে লিপ্ত,একদল অন্য দলকে সহযোগী না ভেবে, ভেবে থাকে শত্রূ তারা কখন ওসুশিতি নন তারা হচেছন অপশিতি। তারা আল্লাহর সহযোগী নন তারা হচেছ শয়তানের সহযোগী।

যেসকল এম,এ,পাস ব্যক্তিগণের স্বভাবে হিংসা-বিদ্বেষ প্রবল এবং তারা দলাদলিতে লিপ্ত, একদল অন্য দলকে সহযোগী না ভেবে, ভেবে থাকে শত্রু তারা কখন ওসুশিক্ষিত নন তারা হচ্ছে অপশিক্ষিত। তারা আল্লাহর সহযোগী নন তারা হচ্ছে শয়তানের সহযোগী।

আমার লেখনীর উদ্দেশ্য হচেছ কি করে মানুষের মধ্যেকার হিংসা-বিদ্বেষ দূর করার জন্য মানুষ তাবলীগ করেন, জিহাদ করেন, আত্মশুদ্ধি অর্জনে সচেষ্ট হন।কাজেই আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি কারও গুনগান করছি না গীবতও করছি না, তথা সমালোচনাও করছি না। আমি আত্মসমালোচনা করছি মাত্র।আলোচনা,সমালোচনা ও আত্মসমালোচনা এক নয়।

প্রনয়ণে প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান
পাটকেলঘাটা,তালা, সাতক্ষীরা

পাগড়ীর প্রয়োজনীয়তা এবং পাজামার প্রয়োজনীয়তা এক হতে পারে কি?

0 comments

পাগড়ী প্রয়োজন, পাজামা জরুরী। আমাদেরকে পাগড়ী পাজামার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে। আমরা পরিধানে পাজামা তথা বস্ত্র পরে থাকি আব্রু ঢাকার জন্য তথা ছতর ঢাকার জন্য। মাথায় পাগড়ী পরে থাকি টুপির উপর- নামাজের সওয়াব বাড়াতে। পাগড়ী পরে নামাজ পড়লে সাতাশগুন সওয়াব নেকী তথা পূন্য মিলবে। পাগড়ীর প্রয়োজন সওয়াব নেকী বাড়াতে যা হচেছ নফল। আর পাজামা প্রয়োজন ছতর ঢাকতে যা হচেছ ফরয। মহানবী (সাঃ)এরশাদ করেন- লক্ষ নফল দিয়েও একটি ফরজের সমান হবে না। দোয়া দুরুদ পাঠ করে সওয়াব অর্জন করা হচেছ নেকী বা নফল। এ নফলকে মাথায় পাগড়ী পরার সাথে তুলনা করা যায়। আর হিংসা- বিদ্বেষ, গর্ব- অহংকার পরিত্যাগ করে লোভ লালসা বর্জন করে আত্মীয়- প্রতিবেশীর সংগে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য প্রানপন প্রচেষ্টা করা হচ্ছে পরিধানে বস্ত্র পরার ন্যায়।

প্রান-পণ প্রচেষ্টা করাকে ইসলামের পরিভাষায় জিহাদ বলা হয়। সমুদ্রের পানির তুলনায় এক ফোটা পানির মূল্য যতটা, জিহাদের তুলনায় সমস্ত নেক আমল সৎ কাজের মূল্য ততটা। ওহে পাঠকবৃন্দ আমরা আগে সওয়াব অর্জনও সৎ কাজের তথা পাজামা ও পাগড়ীর গুরূত্ব বুঝে নেয়ার চেষ্টা করি। যেমনঃ-
১. মিলাদ পড়ে –সওয়াব অর্জন করা হচ্ছে মাথায় টুপির উপরে পাগড়ী পরার ন্যায়। আর মনোমালিন্য, ঝগড়া- বিবাদ মিমাংসার মত ন্যায় তথা সৎ কাজ করে নেয়া বা দেয়া হচ্ছে পরনে পাজামা পরার ন্যায়। যে সমস্ত মিলাদে মনোমালিন্য মিমাংসা করার গুরুত্ব আলোচনা করা হয় না, তাগিদ দেয়া হয় না ঐসকল মিলাদ থেকেই মারামারি তৈরীর ক্ষেত্র তৈরী হয়ে থাকে।

২.কুরআন পাক তেলাওয়াত (অর্থ না বুঝে-তোতা পাখীর মত) করা দরকার, যা হচ্ছে মাথায় পাগড়ী পরার অনুরূপ। কুরআন পাক তরজমা তাফসীর পড়ে জ্ঞান চর্চা করা জরুরী যা হচ্ছে পরনে পাজামা পরার অনুরূপ।

যে সমস্ত ধার্মিক ব্যক্তিগন তিন মিনিট সময় ধরে কুরআন পাক তেলওয়াত করেন অথচ এক মিনিট সময় ধরে তরজমা তাফসীর পড়ে জ্ঞান চর্চা করেন না, তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতে পড়লেও তারা ধর্মভীরু নন,তারা হচ্ছে ধর্মান্ধ। এই ধর্মান্ধতার বীজেই ধর্মসন্ত্রাসী তৈরী হয়েছে।
৩.মসজিদের উন্নয়ন দরকার,মানুষের উন্নয়ন জরুরী। মসজিদ মোজাইকে অর্থ খরচ হচেছ মাথায় টুপির উপর পাগড়ী পরার ন্যায়। আর মানুষের উন্নয়নে নিরাপদ পানি সরবরাহে পি,এস,এফ মেরামতে চাঁদা প্রদান করা হচেছ পরনে পাজামা পরার ন্যায়।

যে সমস্ত ধার্মিক ব্যক্তিগণ মসজিদ মোজাইকে অর্থ খরচে পেরেশাণ অথচ মানুষের উন্নয়নে পি,এস,এফ মেরামতে চাঁদা প্রদানে উদাসীন তারা পাঁচ ওয়াক্ত জামায়াতে পড়লে ও তারা প্রকৃত ধার্মিক নন ,তারা হচেছন দৃশ্যতঃ ধার্মিক। তারা প্রকৃত পরহেজগার নন, তারা হচেছ পোশাকে পরহেজগার।

৪. সওয়াব অর্জন করা হচ্ছে মাথায় পাগড়ী পরার ন্যায়। সৎ কাজ করা হচ্ছে পরনে পাজামা পরার ন্যায়। শতকরা কতটি মসজিদে ২৪ ঘন্টায় ৪ মিনিট সময় ধরে সৎ কাজে সাধ্যমত সাহায্য করায় প্রেরনা দেয়া হয়ে থাকে?

সওয়াব অর্জন করা হচ্ছে মাথায় পাগড়ী পরা। সৎ কাজে উপদেশ দেয়া তথা পি,এস,এফ মেরামতসহ বিভিন্ন সৎ কাজে উপদেশ দেয়ায় প্রেরনা দেয়া হচ্ছে পরনে পাজামা। যে সমস্ত ধার্মিক ব্যক্তিগন সওয়াব অর্জনে সচেষ্ট অথচ এক মিনিট সময় ধরে সৎ কাজ করার গুরুত্ব আলোচনা করেন না, তাগিদ প্রদান করেন না। তারাই আমাদেরকে সৎ কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন।

যে সমস্ত ইমাম সাহেবগন সওয়াব অর্জনে তাগিদ দেন অথচ সৎ কাজে সাধ্যমত সাহায্য করার বিষয়ে তাগিদ দেন না,তাদের উসিলায় সৎ কাজের ক্ষেত্র দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে।

৫. যে সকল বক্তাগন তাদের বয়ানে পি, এস, এফ, মেরামতের মত সৎকাজে সুযোগ মত উপদেশ দিতে প্রেরনা দেন না, তাদের উসিলায় পি,এস,এফগুলো অচল হয়ে পড়েছে। কোন তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে পি, এস,এফ মেরামতের গুরুত্ব আলোচনা করতে দেখেছেন? সৎ কাজ নিজে করা, অন্যের সৎকাজে সাধ্যমত সাহায্য করা , সৎ কাজে উপদেশ দেয়ার বিষয় গুলো ঊপেক্ষিত হওয়ার কারনে সৎ কাজের দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে । কেননা যা বয়ানে প্রাধান্য পায় না তা কি করে বাস্তবায়নে
প্রাধান্য পাবে? ধরা যাক নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি।
মোরেলগজ্ঞের মারাত্মক দুটি সমস্যার বিষয় বিবেচনা করলেও তার মধ্যে একটি হচ্ছে নিরাপদ পানির অপ্রতুলতা এবং অব্যবস্থাপনা। নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় পুকুর পাড়ে বালির ফিল্টারে যে প্রযুক্তিটি দেখছেন তা হচ্ছে পি,এস,এফ। যেহেতু মোরেলগজ্ঞের ৯০% মানুষ পুকুরের পানি পান করেন, তাই তাদেরকে পি,এস,এফ্ প্রযুক্তির মাধ্যমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

বর্তমানে বাজারে এসেছে কানাডা-বাংলাদেশ ওয়াটার ফিল্টার যা পি,এস,এফ প্রযুক্তির বিকল্প (একই ধরনের প্রযুক্তি)প্রযুক্তি। পি,এস,এফ হচেছ পুকুর পাড়ে বালির ফিল্টার,যাতে কল চেপে পানি ভরে দিতে হয়। আর কানাডা-বাংলাদেশ ওয়াটার ফিল্টারে কলসীতে করে ফিল্টারে পানি ভরে দিতে হয়। ঘন্টায় বিশ লিটার পানি ফিল্টার হয় বলে এ ফিল্টার ৫/৭টি পরিবার মিলেও ব্যবহার করা সম্ভব এবং এর নামকরণ করা হয়েছে বিশুদ্ধ।
নিরাপদ পানির অপর নাম জীবন। নিরাপদ পানির ব্যবস্থাপনা নিশ্চয় একটি সৎ কাজ। সূরা হাশর পাঠ করে, দোয়া-দরুদ পাঠ করে, মিলাদ পড়ে সওয়াব অর্জন করা যাবে ঠিকই তবে তার মূল্য হচেছ মার্বেল তুল্য। আর নিরাপদ পানির ব্যবস্থাপনায় পি,এস,এফ সচল রাখতে কমিটি গঠন করতে আলাপ-আলোচনা করা হচেছ মূক্তা তূল্য।

শিশু যেমন মূক্তার তুলনায় মার্বেলে তৃপ্ত, বাংলাদেশের শিশু নামাযীগণ সৎ কাজের তুলনায় সওয়াব অর্জনে সচেষ্ট, সনদ পত্রে সন্তষ্ট-সৎকাজে উপদেশ দিতে ও যাদের কষ্ট, তাদের ধর্ম-কর্মে শয়তান হচেছ সন্তষ্ট। সৎ কাজে উপদেশ দেয়া ছাড়া সৎকাজের প্রসার ঘটে না। সৎ কাজে উপদেশ না দিলে জনগণকে সচেতন করা যায় না। আর সচেতনতা ছাড়া সৎ কাজের সফলতা আশা করা যায় না। যারা সচেতন তারাই সচেষ্ট। সচেতন হওয়ার জন্য সনদপত্র জরুরী নয়। সচেতনতাবোধ জরুরী। একখন্ড চুম্বকের সংস্পর্শে যেমন একটি আলপিন চুম্বকের গুণ অর্জন করতে পারে,তদ্রুপ একজন সচেতন ব্যক্তির সোহবতে একজন নিরর ভ্যানওয়ালাও সচেতন হতে পারে।

মোরেলগজ্ঞে যোগদানের পর থেকে প্রায় প্রতি শুক্রবার কোন না কোন মসজিদে গিয়ে পি,এস,এফ এর উপর আলোচনা করে থাকি এবং এহেন সৎ কাজে সাহায্য সহযোগিতা চেয়ে বেড়াচ্ছি। মসজিদের অনতিদূরে অনেক পি,এস,এফ ও অচল। এমন কি সিডরের পরে এন,জিওদের মেরামত করে দেয়া পি,এস,এফ ও অচল হয়ে পড়েছে।

মসজিদের মুসল্লীগনকে সচেতন করার জন্য আমি একটি প্রবন্ধ লিখেছি যার শিরোনাম হচ্ছে- মসজিদ মেরামতে (মোজাইকে) দশ টাকা দানের তুলনায় পি,এস,এফ মেরামতে এক টাকা দানের সওয়াব বেশী। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই আমি এ শিরোনাম ব্যবহার করেছি।

মসজিদ মোজাইকের কাজ মানুষের কোন মৌলিক প্রয়োজন নয়। মসজিদ মোজাইক করলে মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়- মন ভাল লাগে নামায পড়তে ,যা হচ্ছে মাথায় টুপির উপর পাগড়ী পরা। আর পি,এস,এফ মেরামত করা হচ্ছে পরণে পাজামা পরার ন্যায়। পাঠকই বলুন পরণে পাজামা জরুরী না পাগড়ী জরুরী ?

নিরাপদ পানির অপর নাম জীবন যা আমরা অহরহ বলে ও থাকি। জীবন বাঁচাতে যে প্রচেষ্টা আমরা করে থাকি, নিরাপদ পানির ব্যবস্থাপনায় ও সে ধরনের প্রচেষ্টা করা উচিত কি ? যারা জরুরী বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তারা হচ্ছেন জ্ঞানী ব্যক্তি। সচেতন ব্যক্তিগণ যেমন সোনার মূল্য জানেন তেমনি জ্ঞানী ব্যক্তিগণ নিরাপদ পানির গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

অত্র মোরেলগঞ্জ উপজেলায় যদি মারাত্মক দু’টি সমস্যার কথাও আমরা বিবেচনা করি তবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিরাপদ পানির অভাব। অত্র উপজেলায় গভীর/অগভীর নলকূপ অসফল। কিছু কিছু পকেট এলাকা রয়েছে (যা পরীক্ষামূলক নলকূপ স্থাপন করে খুজে বের করতে হবে) যেখানে অগভীর/অতি অগভীর আচ্ছাদিত নলকূপ স্থাপন করা যায়। কোন দোকানে যেমন সকল পণ্য পাওয়া যায় না তদ্রুপ কোন শিক্ষক ও সকল বিষয়ে সচেতন নন। নিরাপদ পানি সরবরাহ বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ন ও জটিল প্রযুক্তি। অত্র লবনাক্ত এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহে পি,এস,এফ একটি সহজ ও গ্রহনযোগ্য প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তিকে সার্বজনীন করার জন্য আমি রাত জেগে সাহিত্য রচনা করে চলেছি। কেননা সাহিত্যই পারে প্রযুক্তিকে সার্বজনীন করতে।

বাস্তবে মসজিদ মেরামতে তথা মসজিদের মোজাইক করায় মুসল্লীদের যতটা প্রচেষ্টা রয়েছে, পেরেশাণী রয়েছে, তার পাস নম্বরে (৩৩%) কি পেরেশাণী রয়েছে অচল পি,এস,এফ টি মেরামত করে সচল করার ক্ষেত্রে।

আসুন আমরা সকল দলমত ভূলে গিয়ে পিএস,এফ সচল রাখতে কমিটি গঠণ করে কমিউনিটি থেকে কন্ট্রিবিউশন আদায় করে পি,এস,এফ টি সচল রাখতে প্রানপণ প্রচেষ্টা করি।

প্রনয়নে প্রকৌশলী মোঃআজিজুর রহমান পাটকেলঘাটা,তালা সাতক্ষীরা।
বিঃদ্রঃ পি,এস,এফ(পন্ড স্যান্ড ফিল্টার-যা পুকুরের পানিকে বিশোধন করে থাকে)

পড়া ছেড়ে দিয়ে,মোদের কপাল পুড়েছে

0 comments

মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের প্রথম নাজিলকৃত শব্দটি হচ্ছে পড়। জানার জন্য পড়া, শেখার জন্য পড়া, বুঝার জন্য ও পড়া। জ্ঞান অর্জনের জন্যও পড়া। জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়া দরকার, পরামর্শ করা জরুরী, চিন্তা-ভাবনা করা অতীব জরুরী। আমাদের অনেকেরই হয়ত বা পড়ার সময় নেই,পরামর্শ করা কিংবা মত বিনিময়ের সময় করে নেয়া যায় কি? চিন্তা-ভাবনা করার তো প্রত্যেকেরই সময় থাকা উচিৎ।

বাংলার মানুষের মহারোগ হচেছ তিনটি যথাঃ- রোগীর চেয়ে ডাক্তার বেশী,ছাত্রের চেয়ে শিক্ষক বেশী, বলার আগে আমরা বুঝে ফেলি-শোনার ও সময় নেই, ভাবার ও সময় নেই। না ভাবলে হতে হয় বল ....। চিন্তায় চেতনা বাড়ে, গবেষণায় জ্ঞান বাড়ে।
গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করার নাম গবেষণা। চিন্তা-ভাবনা (গবেষণা ) না করলে জ্ঞানী হওয়া যায় না। জ্ঞানী হওয়ার জন্য চিন্তা-ভাবনা, গবেষণা জরুরী, সনদপত্র জরুরী নয়। জ্ঞানী হওয়ার ক্ষেত্রে যারা সনদপত্র তালাশ করে তারা নিশ্চয়ই জ্ঞানী নয়।

চিন্তায় চেতনা বাড়ে, চেতনা থাকলে চিমটি কাটলে ও কষ্ট লাগে। চেতনা না থাকলে কোপ দিলে ও কষ্ট লাগে না। বাংলার একহাজার এম,এ পাস ব্যক্তির মধ্যে কতজন খুজে পাওয়া যাবে যারা ২৪ ঘন্টায় মানব কল্যানে তথা সমাজ-সভ্যতার উন্নয়নে ২৪ মিনিট আলাপ-আলোচনা করে থাকেন? বয়ান করে থাকেন? সাধারণ মানুষগুলো শিক্ষিত মানুষগুলোকে দেখে শিখে থাকে। কথায় বলে দেখাদেখি চাষ, পাশাপাশি বাস।

যে সকল এম,এ পাস ব্যক্তি সমাজ-সভ্যতার উন্নয়নে চিন্তা-ভাবনা করে না তারা হচেছ আত্মকেন্দ্রিক। আত্মকেন্দ্রিক মানুষগুলো আকৃতিতে থাকে মানুষ-স্বভাবে থাকে না মনুষ্যত্ববোধ। মনুষ্যত্ববোধ তথা বিবেকবোধই মানুষকে পৃথিবীর বুকে অন্যান্য প্রানীকূল থেকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন করেছে। জ্ঞান বিবেকের উৎকর্ষতায় মানুষ ফিরিশতা থেকে ও হয় উৎকৃষ্ট। জ্ঞান বিবেকের বিপর্যয়ে মানুষ চতুষ্পদ জন্তু থেকে ও হয় নিকৃষ্ট।

চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিয়াল। শিয়ালের স্বভাবে যে সমঝোতাবোধ রয়েছে তা হয়ত বা আমার মত শিক্ষিত লোকের স্বভাবে নেই। চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভেড়া। ভেড়ার স্বভাবে যে একতাবোধ রয়েছে তা হয়ত বা আমার মত শিক্ষিত লোকের স্বভাবে নেই। চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুকুর। কুকুরের স্বভাবে যে কৃতজ্ঞতাবোধ রয়েছে তা হয়ত বা আমার মত শিক্ষিত লোকের স্বভাবে নেই।

গুড বেটার যেমন এক নয়, দরকার ও জরুরী তেমনি এক নয়, পাগড়ীর প্রয়োজনীয়তা ও পাজামার প্রয়োজনীয়তা ও তেমনি এক নয়। আমাদেরকে পাগড়ী ও পাজামার প্রয়োজনীয়তা আগে বুঝতে হবে। আমরা পাগড়ী নিয়ে পেরেশাণীতে পাজামা খুলে ফেলছি বাংলার মুসলমানগণ। যেমনঃ- সওয়াব অর্জন করা দরকার-পি,এস,এফ মেরামতে কমিটি গঠন করা জরুরী। সওয়াব অর্জন করা হচেছ মাথায় টুপির উপর পাগড়ী পরা আর পি,এস,এফ মেরামতে কমিটি গঠন করা হচেছ পরনে পাজামা বা লুঙ্গি পরা। সওয়াব অর্জন করা ও সৎ কাজ করা এক নয়। পি,এস,এফ এ কমিটি গঠন করা একটি সৎ কাজ। কেননা আগুন নিভাতে যেমন পানি জরুরী, পি,এস,এফ সচল রাখতে ও তেমনি কমিটি গঠন জরুরী।

মোরেলঞ্জের(বাগেরহাট এর একটি উপজেলা) মারাত্মক দুটি সমস্যার বিষয় বিবেচনা করলে ও তার মধ্যে একটি সমস্যা হচেছ নিরাপদ পানির অভাব । অত্র মোরেলগঞ্জসহ সকল উপকূলীয় উপজেলায় যেখানে নলকূপ অসফল, সেখানে নিরাপদ পানির উৎস হচেছ পি, এস,এফ তথা পুকুর পাড়ে বালির ফিল্টার। নিরাপদ পানির অপর নাম জীবন। অথচ এক হাজার কামিল পাস ব্যক্তির মধ্যে কত জন খুজে পাওয়া যাবে ? যারা ২৪ ঘন্টায় এক ঘন্টা তাদের তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে পি, এস,এফ,মেরামতের মত জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়ে বয়ান করে থাকেন। কোন দোকানে যেমন সকল ধরনের পন্য পাওয়া যায়না,তদ্রুপ কোন জ্ঞানী ব্যক্তিই সকল ধরনের জ্ঞানে জ্ঞানী নহেন। এক এক দোকানে যেমন এক এক ধরনের পন্য পাওয়া যায় ,তদ্রুপ এক এক ব্যক্তি এক এক বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবেন, গবেষণা করবেন।

আমি আজিজুর রহমান,উপ-সহকারী প্রকৌশলী হয়ে ও নিরাপদ পানি ,স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায় ও শান্তি-শৃঙ্খলায় তিনটি মাত্র সুন্নত নিয়ে গবেষণা করে চলেছি রাত জেগে। এ বিষয়ে অদ্যাবধি আমি প্রায় শতাধিক প্রবন্ধ লিখেছি যার কিছু কিছু প্রবন্ধ আঞ্চলিক এবং জাতীয় পত্র-পত্রিকায় ও প্রকাশিত হয়েছে।

আমি মোরেলগজ্ঞের সকল এম,এ পাস/কামিল পাস/ইমাম সাহেবদের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি আপনারা আমার লেখা প্রবন্ধগুলো দয়া করে( যা পি,এস,এফ এর উপর লেখা ) পড়ুন,পরামর্শ দিন (দলিল দিয়ে)। যদি বিভ্রান্তিকর হয় তবে সংশোধন করে নিব, প্রয়োজনে পূড়িয়ে ফেলব। সচেতন ব্যক্তি জানেন পি,এস ,এফ তৈরী করা দরকার-পি,এস,এফ সচল রাখা জরুরী । পি,এস,এফ নতুন তৈরীর ব্যাপারে আমরা যতটা সচেষ্ট, পুরাতন পি,এস,এফ সচল রাখার ব্যাপারে কমিটি গঠনে ততটা সচেষ্ট আছি কি ?
প্রনয়নেঃ-প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান পাটকেলঘাটা,তালা সাতক্ষীরা।

আমার লেখনীর উদ্দেশ্য হচেছ -সমাজে কি করে সচেতন ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ানো যায়

0 comments

সমাজে সচেতন ব্যক্তির সংখ্যা বাড়াতে হবে। কেননা যে সমাজে সচেতন ব্যক্তির সংখ্যা যত বেশী- সে সমাজ তত সুসভ্য, সে জাতি উন্নত, সে দেশ তত সমৃদ্ধ। সুসভ্য সমাজের জন্য সচেতন মানুষের সংখ্যা বাড়াতে হবে। উন্নত জাতি গঠনের জন্য সচেতন মানুষের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য ও সচেতন মানুষের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

সচেতন ব্যক্তির স্বভাবে রয়েছে সমঝোতাবোধ. সচেতন ব্যক্তির স্বভাবে রয়েছে স্বার্থত্যাগ। সমঝোতা ছাড়া সামাজিক শৃঙ্খলা আশা করা যায় না। সমঝোতা ছাড়া রাষ্ট্রীয় শৃঙখলা ও আশা করা যায় না। স্বার্থত্যাগ ছাড়া সামাজিক শৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আশা করা যায় না। সচেতনতা হচ্ছে বড় সম্পদ,সচেতনতা হচ্ছে বড় শক্তি। সচেতন হওয়ার জন্য সনদপত্র জরুরী নয়, সচেতনতাবোধ জরুরী। সচেতন মানুষগুলো হচ্ছে সোনার মানুষ যারা সোনার চেয়ে ও দামী।

সচেতন মানুষ হচ্ছেন জ্ঞানী মানুষ। জ্ঞান চর্চা বাড়িয়ে সমাজে জ্ঞানী ব্যক্তির সংখ্যা বাড়াতে হবে। জ্ঞান চর্চার তিনটি মাধ্যম-পড়া, পরামর্শ ও চিন্তা-ভাবনা। সচেতন ব্যক্তি হচ্ছেন আলোকিত ব্যক্তি। একমাত্র আলোই পারে অন্ধকার দূর করতে। সচেতন ব্যক্তিই সৎ কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। সচেতন ব্যক্তিই সৎ কাজে সুযোগমত উপদেশ দিয়ে থাকেন। কেননা তিনি জানেন যারা সচেতন তারাই সচেষ্ট। আলোকিত ব্যক্তি জানেন কোন কাজের মধ্যে আলো আছে। পি,এস,এফ সচল থাকার মধ্যে আলো রয়েছে। পি,এস,এফ(পন্ড স্যান্ড ফিল্টার-যা পুকুরের পানিকে বিশোধন করে থাকে) অচল থাকার মধ্যে অন্ধকার রয়েছে।

নিরাপদ পানির অপর নাম জীবন। উপকূলীয় এলাকায় আমরা নিরাপদ পানি পাই- পি,এস,এফ এর মাধ্যমে। একজন সচেতন ব্যক্তি জীবন বাঁচাতে যেমন সচেষ্ট হবেন, নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় ও তেমনি সচেষ্ট হবেন। বাস্তবে কি দেখা যাচেছ তা একটু নিম্নে পর্যালোচনা করা যাকঃ-
এক হাজার এম,এ/কামিল/ইমাম সাহেবদের মধ্যে কতজন খুজে পাওয়া যাবে যারা দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় চার মিনিট সময় ধরে নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় জনগণকে সচেতন করে থাকেন। এতে যদি কেউ বলতে চান- বাংলাদেশের এম এ/কামিল/ইমাম সাহেবগণ (২/১জন বাদে) নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সচেতন নন। কারণ সচেতন ব্যক্তির শ্রেষ্ঠ কাজ- সাধারণ জনগণকে সচেতন করা। যারা সচেতন তারাই সচেষ্ট।

একজন সচেতন ব্যক্তি নিরক্ষর হয়েও সে নামায পড়ার ন্যায় গুরুত্ব দিতে পারেন-উত্তম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে। অথচ অধিকাংশ নিয়মিত নামাযী ব্যক্তির স্বভাবে ও উত্তম ব্যবহারের বড় অভাব।

একজন সচেতন ব্যক্তি নিরক্ষর হলে ও তাকে ওয়াদার প্রতি সতর্ক থাকতে দেখা যায়। অথচ অধিকাংশ মসজিদের ইমাম সাহেবগণও ওয়াদার প্রতি উদাসীন।

একজন মুচিও অভাবী/একজন ক্ষুধার্ত লোককে খেতে দিতে এগিয়ে যান, অথচ অনেক পরহেজগার ব্যক্তিকে তার অভাবী পড়শীর খোজ-খবর নিতে দেখা যায় না। ধার ও দিতে চান না।

লক্ষ নামাযীর মধ্যে কতজন খুঁজে পাওয়া যাবে, যারা জানেন, নামায-রোযা পালনের ন্যায় আল্লাহর হুকুম উত্তম ব্যবহার করা, ওয়াদা পালন করা, আত্মীয়ের জন্য সম্পদ ব্যয় করা, অভাবীদের অভাব দূর করা। না জানা-ই হচ্ছে অজ্ঞতা। অন্ধকার দূর করতে যেমন আলো জ্বালাতে হবে, তেমনি অজ্ঞতা দূর করতেও নিয়মিত জ্ঞান চর্চা করতে হবে।
সুশিক্ষিত লোকগুলোই সচেতন যার জন্য সনদপত্র জরুরী নয়, সচেতনতাবোধ জরুরী। কোন মনীষী বলেছেন, দেশে সনদপত্রধারী শিক্ষিত (এম,এ/কামিল/ইমাম) লোকের সংখ্যা যত বাড়ছে, সমাজে সুশিক্ষিত লোকের সংখ্যা তত কমছে। বেড়ে চলেছে শিক্ষিত অহঙ্কারী লোকের সংখ্যা। এ ধরনের লোকের স্বভাবে অভাব রয়েছে সমঝোতার, যদি ও তারা কেউবা এম.এ. পাস। এ ধরনের লোকের স্বভাবে অভাব রয়েছে স্বার্থত্যাগের,যদি ও তারা কেউবা কামিল পাস। এ ধরনের লোকের স্বভাবে অভাব রয়েছে শ্রদ্ধাবোধের, যদি ও তারা মসজিদে ইমামতি করে থাকেন। এ ধরনের শিক্ষিত লোকগুলো ভাবেন না সমাজ –সভ্যতার উন্নয়নে। দেশে মাদ্রাসা বাড়ছে, ছাত্র বাড়ছে। মসজিদ বেড়েছে - মুসল্লী বেড়েছে, কমেছে জ্ঞানীর সংখ্যা। দেশে শিক্ষার হার যত বাড়ছে সমাজে জ্ঞানীর সংখ্যা তত কমছে। মুসলিম সমাজে জ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে মসজিদে জ্ঞান চর্চার সময় বাড়াতে হবে। মসজিদে নববীতে নিয়মিত জ্ঞান চর্চা করা হত বলে, তখনকার মুসলিম সমাজে জ্ঞানী ব্যক্তির সংখ্যা বেশী ছিল। এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আমি প্রায় পনেরটি প্রবন্ধ লিখেছি।
জনগণ অসচেতন তাই পি,এস,এফ-গুলো অচল। জনগণকে সচেতন করতে পারলে পি,এস,এফ সচল রাখা সম্ভব হবে। অনেক নিরক্ষর ব্যক্তি ও জানেন পি,এস,এফ তৈরী করা দরকার - পি,এস,এফ সচল রাখা জরুরী। পি,এস,এফ সচল রাখতে কমিটি গঠন করে কন্ট্রিবিউশন আদায় করে মেরামত নিশ্চিত করা জরুরী। আগুন নিভাতে যেমন পানি জরুরী- পি,এস,এফ সচল রাখতে তেমনি কমিটি জরুরী।
অথচ অধিকাংশ এম,এ/কামিল/ইমাম সাহেবের সাহায্য চেয়েও তেমন সাড়া পাচিছ না। জ্ঞানী ব্যক্তিগণের গুরুত্ব দেয়ার কথা জরুরী বিষয়ের তথা পি.এস.এফ এ কমিটি গঠনে সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকাটি পড়ে শুনানোর।

আমি মোরেলগঞ্জের সকল এম,এ/কামিল/ইমাম সাহেবের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি-আপনারা যার যার অবস্থান থেকে এখন থেকেই জনগণকে নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় প্রতি দিনে অন্ততঃ দু’মিনিট সময় ব্যয় শুরু করুন। আল্লাহপাক আমাদের সহায় হউন। আমীন।

প্রনয়নে প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান ,পাটকেলঘাটা,তালা, সাতক্ষীরা-বাংলাদেশ।

বিঃদ্রঃ
পি,এস,এফ(পন্ড স্যান্ড ফিল্টার-যা পুকুরের পানিকে বিশোধন করে থাকে)